একজন প্রবীণ সাংবাদিক আবিদ আলী মন্ডলের কিছু কথা
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মরহুম হেফাজতুল্লাহ মন্ডলের পুত্র প্রবীণ সাংবাদিক আবেদ আলী মন্ডল। পেশায় শিক্ষকতা। শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতার পেশায় জড়িয়ে পড়েন এই প্রবীণ ব্যক্তি। কর্মজীবনে বেশ সুনাম করিয়েছেন তিনি। আজও তাঁর ছাত্ররা শ্রদ্ধা ভরে এ প্রবীণ ব্যক্তিকে স্মরণ করে আদর করে ভালোবাসে এবং সম্মানিত করে। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে যে সম্মান পেয়েছেন তিনি মিডিয়াকর্মীদের কাছ থেকে সেই সম্মান পাননি এমনই অভিযোগ তার পরিবারের। জেলার সকল মিডিয়াকর্মী বন্ধুরা এই আবেদ আলী মন্ডলকে চাচা বলি সম্বোধন করতেন,ভালবাসতেন শ্রদ্ধা করতেন। সবই ঠিক আছে। কিন্তু অসুস্থতায় থাকাকালে কেউ খোঁজ খবর নেয়নি তাঁর। এমনকি তাঁর জানাজাতে অংশ নেননি। হয়তোবা ব্যস্ততার বেড়াজালে সবাই বন্দি ছিলো। জীবন তো ব্যস্ত টেন গাড়ি। তাই বলে কি স্টেশনে স্টেশনে থামবে না? মান-অভিমান সবকিছু ফেলে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাদ জোহর এই প্রবীণ সাংবাদিক আবেদ আলী মন্ডল চলে গেলেন না ফিরার দেশে। ওই রাতেই বাদ এশা নামাজ শেষে তাঁর জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
অসুস্থতার কারণে জানাজায় অংশ নিতে না পারায় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রবীণ সাংবাদিক আবেদ আলী মন্ডলের কবর জিয়ারত করতে ছুটে যান দৈনিক মহাদেবপুরের খবরের প্রকাশক ও সম্পাদক,উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি,বরেন্দ্র সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোহাম্মদ আককাস আলী। তাঁর সঙ্গে জিয়ারতে অংশ নেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্যগণ।
এই প্রবীণ সাংবাদিক আবেদ আলী মন্ডল মহাদেবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং উপজেলা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনতা, বগুড়া থেকে প্রকাশিত দুর্জয় বাংলা পত্রিকায় মহাদেবপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী দুইপুত্র এক কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। আমরা সবাই এই প্রবীণ সাংবাদিক আবেদ আলী মন্ডল এর জন্য প্রাণ ভরিয়ে দোয়া করবো। আমিন।